কোরবানির ঈদ সামনে রেখে প্রায় এক কোটি পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নিজ বাসভবনে মঙ্গলবার এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিদিনই করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ। এই পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থ এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ঝুঁকি মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সরকার চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছেন।
‘এ অবস্থায় অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষের আর্থিক এবং খাদ্যনিরাপত্তায় সরকার নিয়েছে নানামুখী উদ্যোগ। আসন্ন ঈদে প্রায় এক কোটি পরিবারকে দেয়া হচ্ছে খাদ্যসহায়তা।’
দুর্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘দুর্যোগে পরস্পরের পাশে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়েই মানুষের মানবিকতা ফুটে ওঠে। তাই সরকারের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সামর্থ্যবানদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
‘যেকোনো মহামারি রোধে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম ব্যবস্থা। করোনা মহামারি থেকে সুরক্ষা পেতে সকলের সর্বোচ্চ মাত্রার সচেতনতার মধ্য দিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। সামান্য অবহেলা বা উদাসীনতা শুধু নিজে নয়, পুরো পরিবারকে চিরচেনা জগৎ থেকে ছিটকে দিতে পারে।’
দেশে বন্যার আশঙ্কা নিয়ে কাদের বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। যে সকল এলাকায় পানি প্রবাহ বেড়েছে, সে সকল এলাকায় বন্যার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এবং জনগণের ভোগান্তি কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
‘সরকারের পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরও জনমানুষের পাশে থাকতে হবে। দুর্যোগ এবং সংকটে আওয়ামী লীগই সবার আগে জনগণের পাশে দাঁড়ায়। যারা মিডিয়ায় কথামালার ঝড় তোলে, তারা জনগণের দুঃখ-দুর্দশা থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে।’
মেগা প্রকল্পের বরাদ্দ কমাতে বিএনপি নেতাদের দেয়া প্রস্তাবের সমালোচনা করেন কাদের।
তিনি বলেন, ‘করোনার জন্য সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দ রেখেছে। এ ক্ষেত্রে অর্থসংস্থানের কোনো ঘাটতি নেই এবং হবেও না।
‘করোনার টিকা সংগ্রহসহ সকল সম্ভাব্য ব্যয় মেটাতে প্রধানমন্ত্রী বিধিবিধান প্রতিপালন সাপেক্ষে অত্যন্ত উদার। বিএনপি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা দেখাতে পারেনি বলে এখন মেগা প্রকল্পের বিরোধিতায় নেমেছে। তারা দেশের উন্নয়ন চায় না। তারা তাদের সময়ে উন্নয়নের নামে করেছে লুটপাট।’
দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিয়ে কাদের বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা এখন অনেক শক্তিশালী। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আর প্রবাসী আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।
‘করোনাকালেও রপ্তানি আয় বেড়েছে। তাই মেগা প্রকল্পের বরাদ্দ কাটছাঁটের উদ্ভট প্রস্তাব উদ্দেশ্যমূলক।’